শনিবার, ৫ মে, ২০১৮

পথের কাব্য

তোমার চোখের পদ্মদীঘির
স্বচ্ছ জলে দেখি নিজের ছায়া
তোমার মুখের ছায়ার আদল
মোহনবাশী  ইন্দ্রজালের  মায়া

ডুব সাতারে আমি পাড়ি দেবো পদ্ম দীঘির অথৈ গহীন জলে
তোমার মনে গহীন খুজে নেবো।
পঘ হাটবো পথ হারাবো বলে।

আমায় তুমি মন গহীনে
হারিয়ে যেতে দিও।
অচিনপথের বাকে আমায়
তোমার সংগে  নিও।

তোমার চুলের কালো  রাতে
আমায় একটু চোখ বুঝতে  দিও
হোক জোসনা কিংবা আধার আমায়  তেমার সংগী করে নিও।

দুজন মিলে অচিন পথে
জোড়া হাতে  হাটবো  পাশাপাশি
কথার মালায় গেথে দিলাম
বাকীটা পথ থেকো কাছাকাছি।
৫-০৫-১৮

বৃষ্টি কাব্য

বৃষ্টি এলে তুমি ও আসো
রিমঝিমিয়ে বৃষ্টিতালে
টুপুর টাপুর তুমি ও হাসো।
দরজা বন্ধ, জানালা বন্ধ
মনের সকল দুয়ার বন্ধ।
তবু তুমি সাত সমুদ্রের
ওপার হতে
ভেজা মেঘের ভেলায় ভেসে।
ভাসিয়ে দিতে সামনে আসো, খিলখিলিয়ে বৃষ্টিতালে
ঝমঝমিয়ে তুমি ও হাসো।

দুহাত তোমার বাড়িয়ে দিয়ে
আমায় তোমার সংগে নিয়ে

আমায় তুমি কাছে ডাকো
বৃষ্টি ভেজা সবুজ বনে
কাচা মেঠো পথের পরে
যুগল পায়ের চিন্হ আকো

ভিজিয়ে আমায়  তুমি হাসো
আমার সনে তুমিও ভাসো।

দু চোখ বুঝি তবু দেখি
যখন তখন সংগে আছো একি
তোমার ছায়া বুকের মাঝে।
সকাল দুপুর সন্ধ্যা সাঝে

বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর
পথ হেটে যাও বুকের ভেতর
পোডা জমি যাও ভিজিয়ে
পায়ে দিয়ে জলের নুপুর।

নানা রংঙের দিনগুলি

ফেলে আসা পথ বুঝি
চেনা নামে ডাকে,
ফেলে আসা দিন গুলো
সেই ছবি আকে।

কানে কানে বাতাসেরা
শীষ দেয়ে চুপচাপ,
শিশির আর কুয়াশারা
ঝরে পড়ে টুপটাপ।

রাতের তারারা বুঝি
জোনাকির আলো জেলে
হারানো সময় খুজে
যে পথটা এসেছি যে ফেলে।

রংঙিন স্বপ্ন গুলি
সবুজের দিনগুলি।
ভুলে যেতে চাইলেও
কি করে যে ভুলি।

আকাশ জোড়া মেঘ,
সারিসারি কাশফুল
নদীর দুকুল জুড়ে রয়।
অবারিত ফসলের মাঠ জুড়ে
সবুজ শ্যামল ছবি
নদীর দুকুল জুড়ে
পুবালী বাতাসেরা বয়।

ফেলে আসা সেই সব
নানা রংগের দিনগুলি
পারেনাতো কেউ কভু
যেতে তারে ভুলি।
০১-০৫-২০১৮

ইচছে ঘুডি

তোমার ইচ্ছে গুলো, ইচ্ছে হলে আমায় আমায় দিয়ে দিও।
আমার বুকের মাঝে ভালোবাসা
ইচছে মতো যখন খুশি  নিও।

তোমার স্বপ্ন গুলি আমায় নিয়ে
বুকের খাচায় যত্ন করে রেখো
শেষ বিকেলের আকাশ জুড়ে
আমার ছায়া আনমনেতে একো।

আমার বুকের বন্ধ খাচায়
মনটা তোমার বন্দী আছে জেনো
সেই খাচাটা তুমি কেবল খুলতে পারো সেটাই শুধু জেনো।

ইচ্ছে যতো ইচ্ছে মতো
তোমায় যতো ভালোবাসি
তোমায় নিয়ে অষ্টপ্রহর
অহর্নিশি তাইতো কান্না হাসি। 

২৬-০৪-১৮

কবিতা তোমায় দিলাম ছুটি।।

কবিতারা মাঝে মধ্যে
আশপাশে ঘুরঘুর করে,
ছায়ার মতো পিছু নেয়।
বাতাসেরা কানে কানে
শীষ দিয়ে বলে যায়,
কবিতার প্রিয় পংক্তিমালা।

বর্ষায় কদম ফোটার দিন
আসলো বুঝি কবে?
আগুনমুখা কৃষ্নচুডার বনে
আগুন লাগলো কবে?
এসব জানাতে চায়।

কবিতার পংক্তিগুলো
হাতে হাত ধরে দাডায়
সামনে আসে বড্ড অভিমানে
আমি টেবিলে মাথা গুজে
অফিসের ফাইল দেখে চলি নির্বিকার। যন্তদানব।

অনুঃপ্রাস আর অন্তমিলের আন্তেকশরীটা
মনের গোপনে বিটোফেন
এর সুরের মতো বেজে চলে।

আমার ঘরের দুয়ার  বন্ধ
মনের জানালায় প্রবল বাতাসেরা ঝাপটায় ডানা
মনে করিয়ে দেয়
দুরের বনে ছোট্ট কোকিল  পাখি বাতাসের গর্জনে  ডেকে উঠে
কা কা শব্দে প্রিয় ডাক ভুলে।

অন্ত:পুরের রাজপ্রসাদের রাজকন্যার মুখ
ভেসে উঠে চোখের পর্দায়,
মায়ভরা মুখ সকরুন আর্তিতে
একটা কবিতাও কি তুমি লিখবেনা কবি?আমার জন্য?
এতটা বেরসিক যদি হবে কেন কবিতার সাথে  জোড়া বেধে
এতটা পথ হেটেছ।
জোড়া শালিকোর মতো।

আমি তবু বিচলিত হইনা,
বিরক্ত ও না, শরতের কাশফুলের জন্য বুকের ভেতরটা ফাকা লাগে তবু।
বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল আর জোস্নামাখা রাত গুলো বড্ড ব্যাকুল
করে, তাইতো।
কবিতা তোমায় দিলাম ছুটি।

ক-ত-টা য-ত-টা

কতটা পথ হাটলে
তারে পথিক বলা যায়,
যতটা পথ হেটে গেলে পরে
পথ খুজে পাওয়া দায়।

কতটা আধার নামলে
পরে রাত্রি নেমে যায়,
যতটা আলো জ্বললে 
সেটা অাধারেতে হারায়।

কতটা জল পান করেও
বুকের তেষ্টা মেটা দায়,
যতটা দুঠোট জলের বদলে
থাকে চুম্বন সুধারই আশায়।

কতটা আলো ফুটলে পরে
ভোরে পাখিরা  গায়,
যতটা আলোয় ভোরের হাওয়ায়
ফুল কুডিয়ে গলায় জড়ানো যায়

কতটা বৃষ্টি নামলে পরে 
তারে বর্ষা বলা যায়,
যতোটা ভিজেও হাতে হাত রেখে
পথ হাটতে পথে নামাটাই দায়।

কতটা কাছে পেলে
তারে প্রাপ্তি বলা যায়,
যতোটা দুরে না গেলে থাকে
কাছের মানুষ দৃষ্টির সীমানায়।

কতটা গভীরতায় গেলে
সমুদ্রে ডোবা যায়,
যতোটা প্রেমে পড়লে পরে
জলে ডোবাটাই দায়।

কতটা কাব্যময়তা থাকলে
গদ্যপদ্যে তারে কবিতা বলা যায়
যতটা আবেগ থাকলে পরে
নিজের মতো করে লেখা দায়।

কতটা যাতনা চেপে রেখে বুকে
নির্জনতা নিঃসঙ্গতা হয়ে রয়,
যতটা নীরবে একলা আকাশ
একলা একা  রাত্রি জেগে রয়।
@তৃতীয়পক্ষ