কবিতারা মাঝে মধ্যে
আশপাশে ঘুরঘুর করে,
ছায়ার মতো পিছু নেয়।
বাতাসেরা কানে কানে
শীষ দিয়ে বলে যায়,
কবিতার প্রিয় পংক্তিমালা।
বর্ষায় কদম ফোটার দিন
আসলো বুঝি কবে?
আগুনমুখা কৃষ্নচুডার বনে
আগুন লাগলো কবে?
এসব জানাতে চায়।
কবিতার পংক্তিগুলো
হাতে হাত ধরে দাডায়
সামনে আসে বড্ড অভিমানে
আমি টেবিলে মাথা গুজে
অফিসের ফাইল দেখে চলি নির্বিকার। যন্তদানব।
অনুঃপ্রাস আর অন্তমিলের আন্তেকশরীটা
মনের গোপনে বিটোফেন
এর সুরের মতো বেজে চলে।
আমার ঘরের দুয়ার বন্ধ
মনের জানালায় প্রবল বাতাসেরা ঝাপটায় ডানা
মনে করিয়ে দেয়
দুরের বনে ছোট্ট কোকিল পাখি বাতাসের গর্জনে ডেকে উঠে
কা কা শব্দে প্রিয় ডাক ভুলে।
অন্ত:পুরের রাজপ্রসাদের রাজকন্যার মুখ
ভেসে উঠে চোখের পর্দায়,
মায়ভরা মুখ সকরুন আর্তিতে
একটা কবিতাও কি তুমি লিখবেনা কবি?আমার জন্য?
এতটা বেরসিক যদি হবে কেন কবিতার সাথে জোড়া বেধে
এতটা পথ হেটেছ।
জোড়া শালিকোর মতো।
আমি তবু বিচলিত হইনা,
বিরক্ত ও না, শরতের কাশফুলের জন্য বুকের ভেতরটা ফাকা লাগে তবু।
বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল আর জোস্নামাখা রাত গুলো বড্ড ব্যাকুল
করে, তাইতো।
কবিতা তোমায় দিলাম ছুটি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন