ল্ম্বা চিপচিপে গড়নের শ্যামলা রং কি তারও অধিক গৌর এক রংঙের কাপড জাপনী টরে কাপড়ে বানানো পান্জাবী,যদি ও ওটা আসল জাপানী কাপড়ের মতো মিহি আর নরোম মনে হয়নি কখনো আর একটা হাজী গামছা শেষ বয়সের কথা বেশী মনে পড়ার কথা, তবু শক্ত পোক্ত ছ ফিটের কাছাকাছি লোকটা এতটা সময় কাল ধরে পরিশ্রম করার পর,অত্যন্ত কৃচ্ছতা সাধনে অভ্যস্ত বিলাসিতা বলতে ভাতের পাতে প্রতি লোকমায় একটু করে লবন মেখে খেতেন, আর ঘরের বাইরে রোদ পোহানোর ছলে মাঝে মধ্যে গায়ে একটু তেল লাগাতেন তাও যতসামন্য, দৈনন্দিন চাকরী বলতে আপন ভগ্নিপতির কেরানীগিরি আর জমি জমা কিনে, বাট্টা,দাগ, খতিয়ান সি এস আর ও আর শব্দ গুলোর সাথে এতটাই সখ্যতা ছিলো যে চোখ বন্দ করে নিজের মৌজার সব গুলো জমি কোনটা কার বাপদাদার আর কোনটা কার কেনা মুখস্ত বলে দিতে পারতেন, ছোট কাল থেকে গৃহস্থ্য কৃষক বাপের কিছু জায়গা জমি ছাড়া অন্য কোন আয়ের উপায় না থালার পর ও পাচটা বোনের বিয়ে দেয়া, আর ছোট আদরের ভাইটিকে নিজের সাথে কাজ করতে খাগড়া ছডি বান্দর বনের ইটের ভাটা আর রাস্তার কনকদারি কাজে লাগিয়ে দিলেন, স্বাধীন দেশের রাস্তা ঘাট তৈরী হচ্ছে সে সুবাদে পোয়াবারো তখনকার কনকদার আর হাল আমলের কন্টাকটারদের বাপের মৃত্যর হালকা গাড়ে এতটা দ্বায়িত্ব আর সবার জন্য ভালো চিন্তা করার কারনে লোকটার কোন সন্তান সনৃতানাদি ছিলো না, ইচ্ছে করলেই আর একর্টা বিয়ে করতে তেমন বেগ পেতে হতো না, তবু সংসারে শানৃতি ভংগ হবে ভেবে হয়তো সে সাহস করেননি, জমানো টাকা পয়সা ও ছিলো নিজে যেখানে কাজ করতেন আপন বোনের জামাই দুলাভাই এর প্রতি তার বিশস্ত কর্মচারী হিসেবে এতটা সততার পরিচয় রেখেছেন যে নিজের বোন কলেরায় মারা যাবার পর বোনের রেখে যাওয়া সন্তানগুলোর কথা ভেবে নিজের একটা আত্নীয় বাড়ী থেকে আবার বিয়ে করালেন, কিনৃতু বিধাতার মার সাধ্যের বাইর পরের সংসারে বোনের ছেলে মেয়ের উত্তর প্রজন্মে আরও সনৃতানাদি হওয়ায়,বড় ছেলে মেয়েদের প্রতি সোহাগ কিংবা অনুরাগ স্বভাবতই কমে আসে আর সেটাই তার কঠিন মনোপীড়ার কারন হয়ে দাড়ালো হয়তোবা, তবে কুকুর যেমন প্রভুর বিশ্বস্ত তেমনি হাজ্জুল্লা জমির পর জমি দাগের পর দাগ কিনে বোনজামাইয়ের জমিদারীর যে বিশাল রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন তাতে ছিটে ফোটা জমি ও তার স্বনামে কি বেনামে নিজের জন্য বা নিজের অন্য কারো জন্য রাখেন নি, এই একটা বিষয় তার সততার ব্যাপারে শতভাগ কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে, কিনৃতু কালের আর একটা নিরব স্বাক্ষী হয়ে থাকার মতো করে নিজের ঔরষজাত কোন সনৃতান না থাকায় তার পালক পুত্র এবং ভাই বোনদের সমৃপত্তির ভাগ-বাটোয়ারার জাগতিক লালসায় তার নামটা এক প্রজনৃম পরই মুছে যাবে এটা সত্যি অন্যায়।
যে মানুষটা নিজের কাঠের আলমিরাতে নিজের জন্য জমানো কিছু টাকা যক্ষের ধনের মতো আগলে রেখেছিলেন শেষ বয়সের সহায় হিসেবে সে টাকা ও কেটেছে উইপোকায়।
মারা যাবার আগে কোন রোগ শোকে না ভুগলেও হুট করেই মারা যান।কিনৃতু শেষ বয়সে নিজের একটা সন্তান না থাকায় একটা ছেলেকে দত্তক নেয়ায় তার নিজের ও ভাইয়ের পরিবারিক আবহে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিলো সেটা আগেই অনুভব করতে পোরেছিলেন আর সেটাকে প্রতিরোধ করার জন্য এর আগেই তিনি অনেক গুলো পরিকল্পনার ছক তিনি হয়তো একে রেখেছিলেন বলে জমি জমার কারবারী হিসেবে খ্যাত লোকটা তার ভগ্নিপতি মনিবের রাজকুমারী মেয়েটিকে আগেই চেয়ে নিয়েছিলেন তার ছোট ভাইয়ের পরিবারের জন্য আর কোন এক সময়ে সেই ওয়াদা পালনের উদ্দেশ্যেই অনেক বাধা বিপত্তি আর আর্থিক অসমতার পর ও তার কৃত ওয়াদার বরখেলাপ করেননি বলেই শেষ পর্ষনৃত নিজের গ্রামে ওই মেয়ের নামে জমি কিনে আবার নিজেদের জমি দিয়ে আষ্ঠে পৃষ্টে ভাইয়ের সংসারটাই কি আগলে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন?
না পরলেন না শেষ পর্ষবৃত সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে থাকা এ দার্শনিকের কোন তত্বই তখন প্রতিষ্ঠা পায়নি।
শেষ পর্ষনৃত তার পালিত দত্তক সন্তানটির অধিকার প্রতিষ্ঠাই যেন তার জন্য বড় কাজ হয়ে দাড়ালো, তিনি যেন দিব্য চোখে দোখছিলেন তার মৃুত্যর পর তার সমৃপত্তি তার উত্তরাধিকারের বিপত্তি ঘটাবে।
রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
হাজ্জুল্লার গল্প
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
-
। কোথাও না কোথাও, কেউ না কেউ, কখনো কখনো কারো না কারো অপেক্ষা থাকে কিংবা প্রতীক্ষায় রাতের আকাশ যেমন অপেক্ষায় থাকে, সুর্য্য ডোবার আর চা...
-
কুয়াশামাখা ভোরের সজীবতা, নতুন ভোরের মুগ্ধ ব্যাকুলতা। তোমার লেখা চিঠির মমতো চিরকুটের ওই কবিতাখানি হয়না পড়া শেষ,বারে বারে তবু লাগে ব...
-
ইচ্ছে করে,গল্পগুলোর প্লটের ভাজে, গানের যতো অন্তরা আর, সুরের যতো রাগীনিতে কবিতার সব অন্তমিলের পংক্তি মালায় চিত্রকলার বিমুর্ত সব শিল্পক...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন