বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১৮

অন্তলোকোর জল জোসনায়!!!

একটা কবিতা লিখবো ভেবে
বুকের ভেতর জমে থাকা শব্দমালা
হাতুরীর মতো ঢং ঢং করে বেলা অবেলায়
সময় অসময়
কেবল বাজিয়ে যায় সময়ের ঘন্টাধ্ধনি।
নিজের অজান্তে ভয় পেয়ে যাই এই বুঝি এলো বলে বিধাতার সমন হাতে ওপারের যমদুত।
না নিজের ছায়া ছাড়া চারদিকের দেয়ালজুড়ে অন্য কারো অবয়ব এর ছায়াচিত্র কতদিন ভেসে উঠেনা
বন্ধ ঘরে বন্ধ কুঠরীর মাঝে কেবল একটুকরো মুঠোফোন কিংবা ডেক্টটপের জানালায় আকাশ বড্ড একাকীত্বে ঘেরা।
আমার আকাশ জুড়ে উড়ে চলা  একঝাক শংখছিল।
কারো জন্য কি আমার পথ চেয়ে বেলা কাটে?
কারো করুনায় কি সুর বাজের বুকের বেহালার অন্তলোকে?
আমার দীর্ঘ অবকাশে সবই বহমান থাকবে সময়ের চালে
কেউ আমার জন্য মাঝ রাত্তিতে বুকের কষট চেপে কাদবে কতটা সময়?
আমার স্মৃতি গুলো মুছে দিতে,, জাগতিক বাস্তবতা
কতটা সময় নিবে?
নাহ মেলাতে পারিনা।
সবার জন্য আমার বুকের গভীরে যে ভালোবাসার বীজ ডালাপালা সমেত বৃক্ষরাজির সারি,
আমার জন্য কার আকাশে মেঘ রোদ্দুর জলের ফোটার তৃষ্না নিবারন এর নৈবেদ্য সাজানো  আছে?
থাকুক না থাকুক
দুঃখ কষ্ঠ অভিমান
যা কিছুর ছায়ায় ঢেকে যাক বুকের শব্দ মালা
সবাই সেই পথ ধরে
এজে একে সে গন্তব্যের পথে পা পাডাবে
এর চেয়ে ধ্রুব সত্য আর বুঝি হয়না কিছু।
তবে কি ভালোবাসা, অনুভুতি এক জাগতিক মোহের নাম কেবল।
তবু সেই জাগতিক মোহের জালে জড়াতে জড়াতে একদিন জালে জড়িয়ে সবাই হারিয়ে যায় হারিয়ে যাবে।
তবু চাই ভালো থেকো
ভালোবাসায় ভালোবোসে
ভালো থোকো।

অধরা কাব্য

ইচ্ছে করে,গল্পগুলোর প্লটের ভাজে,
গানের যতো অন্তরা
আর, সুরের যতো রাগীনিতে
কবিতার সব অন্তমিলের পংক্তি মালায়
চিত্রকলার বিমুর্ত সব শিল্পকলায়
তোমায় আকি,তোমায় লিখি
তোমায় ডাকি, গল্প গুলোর কল্পলোকে।।

মর্ত্যলোকের অচিনপুরে,
দুর গগনের  অস্তাচলে,
দৃশ্যলোকের আলোকমালায়
পথের শেষে ক্লান্ত ধুলায়
তোমায় ডাকি, তোমায় আকি
তোমায় রাখি, অচিন পুরের গল্পলোকে!!

কিন্তু, তুমি অধরালোকের আলোকছায়ায়
দুর ভুবনের কোন সুদুরে পালিয়ে বেডাও
,তুমি  জানো, তুমিই জানো কোন সুদুরের  বর্মডালে সংগোপনে আডাল তুমি।

কল্পলোকের গল্প গাথা

তোমার সাথে, একপলকে
সবুজ বনে একটু দেখা
সেই হাসিটা,আজো কেমন
মনের কোনে আছে আকা।

দেবদারু , আর জারুল তলার,
মুগ্ধস্মৃতি, সেকি  আকুলতা।
কল্পলোকের অন্তলোকে,
আজো আছে,  সে সব  ব্যাকুলতা।

এক পলকের একটু দেখায়,
জলরংগের  নিপুন শিল্পকলা।
ইন্দজালের মায়ায় কেবল,
সহজ সরল নিপুন  কাব্য কলা।

বন্ধুত্বের সালতমামি

বন্ধু মানে আমি তুমি
বন্ধু মানে আপনি এবং তুই
বন্ধু মানে একে একে দুই
কিম্বা দুয়ে একে দুই।
বন্ধু মানে একটা আকাশ
এক ফালি চাঁদ ভোরের শিশির  ধারা
নীল জোনাকি রাতের  ধ্রুবতারা

বন্ধু মানে পাশাপাশি
জলের দুটি ধারা।
বন্ধু মানে বাধনহারা
মুগ্ধমায়া জেনো পাগল পারা।

বন্ধু মানে সবুজ বনের ভোর
বন্ধু মানে বলবি কি আজ
কি হয়েছে তোর?

বন্ধু মানে মনের যত
আপন  গোপন কথা
দুঃখ  শোকে গোপন যতো
মনের আকুলতা।

বন্ধু মানে  নিজের ছায়া
আপন কাছের সজন
বন্ধু মানে মান অভিমান
রাগের শেষে  আপন।

বন্ধু মানে  বৃস্টি ভেজা
বাদল দিনে তোমায় পড়ে মনে
বন্ধু মানে রাগ করলে অমন যদি
অভিমানে যাবো  যে কার পানে।

বন্ধু মানেতোর দুখানা হাত ধরে
হাটব আজি অনেক দুরের পথ
লং ড্রাইভপ  দু জন মিলে
একটা মত  ও পথ।

বন্ধু মানে বন্ধু আমার
সুখে  দুখে জড়িয়ে বুকে
করবে শাসন করবে সহাগ
আল্লাদে আর শোকে।

বন্ধু যদি থাকে  কাটবে সময় আনন্দে বার মাস
বন্ধু মানে বুকের ভেতর
স্বপ্নের চাষাবাদ।

বন্ধু মানে বন্ধু আমার
ভালো থাকিস তুই
বন্ধু মানে একে একে দুই।

দশ দিগন্তের শুন্যতা

রাত্রি নিশীথে,
আধার নেমেছে ধরনীর বুকে
একলানেমেছি অচেনা মেঠোপথে।
চাদের আলোয়,
খুজে ফিরি দিশা একাকী নাবিক
হাল ধরে আছি একা একা
নিজে নিজে  কোনো মতে।

হয়তো সুদুরে
কোন এক বাকে তোমার কি পাবো দেখা?
মধ্য যামিনী পার হলো বুঝি
যাত্রী একেলা আমি ই শুধু একা।

আধারের ঘোর
অমানিশা লাগে দুচোখ মুদিয়া আসে।
ভোরের আলো
ওই দিকে বুঝি শিশিরে মুক্তো হাসি হাসে।

অষ্ট প্রহর দশ দিগন্তের ছায়াপথ ঘেরা ধুরতারা গেলো কই?
রাত্রি নিশিথে  গোপনে বিজনেকারে আমি
আজ মনের কথা কই?

চাদ ডুবেছে মেঘের ছায়ায়
সবুজ পাহাড বনের মায়ায়
দুর সাগরের বাউল বাতাস
আধার ঘেরা তারার আকাশ

আমি শুধু জেগে রই
আপন মনে সংগোপনে
নিরবধি কথা কই।

গল্পের কবিতা ,কবিতার গল্প

।।।
-------------------------------
গল্প হোক কি কবিতা গদ্য কি পদ্য ,
ইচ্ছে করে নিজের মতো লিখে যাই অনবদ্য ।
গল্পের প্লট কিংবা কবিতার অন্ত্যমিল কমা দাড়ি,
প্রিয় নারীর সেজে উঠা পরে নীলাম্বরী শাড়ী।
বর্ষার প্রথম কদম ফুল কি খোপায় লাল গোলাপ
প্রিয়তম সময় ওলোর অন্তরঙ্গ আলাপ।
কবিতারা তাই জীবনের বোধ সময়ের গল্প
গল্পেরা তাই কখনো খানিক কবিতা অতি অল্প
হাতে হাত রেখে চলা জীবনের জলছবি,
কখনো বানায় গল্পকার কখনোবা কবি।

গন্ধম কাব্য

তোমায় নিয়ে সবুজ বনে
একলা একা সংগোপনে
দুর পাহাডের শামল ছায়ায় জারুল তলার রৌদ্দছায়ায়
অনেকটা পথ হাটার ইচ্ছে
বুকের মধ্যে একলা একা অনিচ্ছেতে ও বাধে বাসা
রেল লাইনের দুধার ধরে
শাটল ট্রেনের পথের পরে
কিংবা ধরো কাটা পাহাড়
রাস্তা ধরে,চারুকলার ঠিকপেছনে
সবুজ যেথায় ঢাকা ঘাসে।
দুজন মিলে পাখির কুজন
শুনবো বলে অপেক্ষাতে
কেটে গেলো  অনেক বছর একলা প্রহর একলা  একা।।

আবার  কভু দুজন  মিলে
খুজতে গেলে স্মৃতির সেকাল, শাটল ট্রেনের মুগ্ধ সকাল।
ঝাউয়ের বনে, খেলার মাঠে
তোমার দুহাত ধরে আমার
হাটতে  ভীষন  ইচ্ছে হবে, বাউলিয়ানায় মত্ত হয়ে
তোমার চুলের একটুকু ঘ্রান নেয়ার বড্ড জাগবে চাওয়া
এক জীবনের এ টুকু পাওয়া
তাও কি  বলো বড্ডো  বেশী।
তবে  সেটা আকাই থাকুক
বুকের খাচায় তাতেই খুশি।।
@তৃতীয়পক্ষ

অনুভুতির অন্ত:লোক



কুয়াশামাখা ভোরের  সজীবতা,
নতুন ভোরের মুগ্ধ  ব্যাকুলতা।
তোমার লেখা চিঠির মমতো
চিরকুটের ওই কবিতাখানি
হয়না পড়া শেষ,বারে বারে তবু লাগে বেশ
দু এক একটা লাইন চিঠির মতো 
রোজই পেলে লাগতো বুঝি বেশ।
পড়বো যতোই  তাইতো জেনো
কাটবেনা  যে মুগ্ধতারই রেশ।

নীল খামেতে তোমার লেখা
চিঠির মতো পেতাম যদি,
বুকের মধ্যে ছোট্ট নদী
জল টলমল বইতো নিরবধি।

অনুভুতির দুয়ারে নাড়ো কডা তুমি,
তোমার তুলনা  একলা শুধু তুমি।

এক পলকের একটু দেখা
ভোরের পাখির মতো,
পাখি আমার একলা পাখি,
তোমায় জেনো আমিই ডাকি
জলরং এ তাই তোমার জন্য
ভালোবাসা আকি।

অন্তলোকের দৃশ্যমালা
শিল্পময় এক  কাব্যকলা ছবি
তোমার জন্য তাই লিখে যায়
শব্দলোকের কবি।,তৃতীয় পক্ষ

বন্ধু কাব্য

বন্ধু মানে বুকের ভেতর,
ছোট্ট একটা নদী।
বন্ধু মানে জল টলমল
ঝর্নাধারা বইছে নিরবধি।

বন্ধু মানে কেমন আছিস,
কোথায় থাকিস বল?
বন্ধু মানে একটু সময়
আবার কোথাও আড্ডা দিই চল।

বন্ধু মানে থামবি এবার
আমায় বলতে দিবি।
কফি সাথে অন্য কিছু
আর কি কিছু নিবি।

বন্ধু মানে জডিয়ে বুকে,
মনের কথা বলবি কাকে বল।
আমায় খানিক সংগে নিয়ে,
চল দুজনে দুরে কোথাও চল।

বন্ধু মানে নীল আকাশে
তারার মেলা দুর গগনের চাদ।
বন্ধু মানে গল্প আড্ডা
চলুক টানা অন্য সবি বাদ।

বন্ধু মানে বন্ধু আমার দুঃখসুখে
মনের কথা তোরে শুধু কই
বন্ধু মানে তুই বিহনে একলা একা
বলবি কারে মনের কথা কই । ৭-০-২০১৮

মনের ব্যাকরন

মন কি কোনো বাধন  মানে?
কিংবা শোনে  শাসন বারন
ভালোমন্দ  মনই কেবল জানে
পাইনা খুজে ছকে বাধা কারন।

আপনভুবন নিজ খেয়ালে
সাজায় যেমন ইচছে তালে।

শোকানন্দে কষ্টমাখা বুকে,
ভাবনা  যাহাই হোক।
মনগহীনে দুঃখ কিংবা সুখে
যে যাই বলুক লোক।

আনন্দ কি নিরানন্দে,
মন দোলে তার আপন ছন্দে।

মন খারাপের একেক দীর্ঘ রাতে
মিলায় শুন্যে আলো ছায়ায়
ভোরের আলোর মুগ্ধ মায়ায়
ভোরের হাওয়া যখনি বয় প্রাতেঃ।  

একলা একা খুব অনিয়ম
রাত্রি জাগা দীর্ঘতর  ভোর
অনিয়মনের নিয়ম মেনেই
বন্ধ কিংবা খোলে মনের ডোর

নির্ঘুম ডোবে রাত্রি শেষে
ভাবনা জলে, রাতের চন্দ্র তারা,
কাটলে আধার ভোরের বেশে
নতুন দিনের স্বপ্নে জাগে বসুন্ধরা।

তৃতীয়পক্ষ।

জোড়া কবিতা

এক।

ভালোবাসার কাব্যকলা।
চোখের  কোনে তারার নাচন।
আকাশ জুড়ে   নক্ষত্র পতন।
তোর দুচোখে যাদুমাখা।
কাটল টানা মায়াআকা
তোর দুচোখ পটল চেরা।
ইন্দ্রজালের মায়ায় ঘেরা ।

তোর দু চোঠের সজীবতা।
ভেরের বাতাস চায়ের চুমুখ
যে দিকে চাই ভাসে
শুধু তোর মুখটা ভাসে।

তোর দুটো হাত ধরে হাটা
রেল লাইনের পথ
সবুজ বনে গায়ের পথে
শিশির সিক্ত  যুগল মনোরথে

ভালোবাসি বললি যখন,
উঠলো কেপে হিয়া,
তোর আলোতে ভুবন আমার
উঠলো  যে উথলিয়া 

আলোকময়ীর আলো
তোকে সত্য জানি কেবল
তোকেই ভাসি ভালো।

আমার মতো তুই ও আমায়
ভাসিস অনেক ভালো
দুজন মিলে এক হয়ে চল
পথ হেটে যাই চলো।

যখন তখন কপট রাগে
তুই যদি দেস অভিমানের কালো
তবু জানিস আপন মনে 
ভাসবো তোকে ভালো।

দুই।

গোলাপ বাগানে হলুদ বসন্ত।
ফাল্গুনের অাগুন রংঙা কৃষ্নচুড়া চোখের সীমায়  পড়েনি অনেকদিন,
কৃষ্নচুডা  কি কেবল রমনার বটমুলে ফোটে তবে?
হলুদের সমারোহ  সবুজ উদ্যান  টি এস সি, অপরাজেয় বাংলা,
আর মধুর ক্যান্টিন এর খোলা আঙিনায় জুড়ে বাউল বসন্ত।
দিনভর  মাতিয়ে রাখলো।
একদল প্রানবন্ত যুবকের দল
নীল জিনস আর হলুূদ টি শার্ট
মাতিয়ে রাখলো লাল হলুদের সুবর্ন কন্কন পরে থাকা 
রমনীদের শাড়ীর আচলের পাশ গেষে হেটে চলা জোড়াবদ্ধ হাত।
মাঝখানেএকটা রাতের কালো আধার
জগতের সমস্ত হলুদ কৃএমশ বিলীন হতে হতে
 কৃষ্নচুড়া  আঙুনমুখী লাল,লালগোলােপের 
 গুচছ কলি হতে ফোটে পরিপুর্ন ভভালোবাসার কবিতা হয়ে উঠে।
বসন্তের বাউল বাতাসে লাল গোলাপের ভালোবাসা মাখা
 রংঙিন আলোর বর্নছটা ছডিয়ে মনে করিয়ে দিয়ে গেলো
সময় বয়ে যায় সময়ের নিয়মে
আসে বসম্ত আর কোকিল
মনে পড়ে যায় ,একদিন আমারাও ছিলাম,
ভালোবেসেছিলামআর বসন্ত বাতাসের, 
বাউলিয়ানা লুকালো কেথায়?
রইলো কেবল সারি সারি
স্মৃতির মালা মুক্তোদানা
প্রেমের মতো ঝিনুকের আবরনে।

তুই

অমন কেন তুই  আমারে
বুকের খাচায় আটকে রাখিস,
আমায় কেন শিকল পায়ে
আটকে দিতে পিছু ডাকিস।

মুক্ত পাখি আকাশ পানে
পথ পাড়ি দেয় ক্লান্তি ছাড়া
রাত বিরাতে আধার পানে
আনন্দেতে মেতে উঠা বাধনহারা

কিংবা যখন নরোম আলো
নরোম রোদ্দুর ভেসে ভালো
খুব প্রভাতে সুর্য্য হাসে
ভোরের শিশির দুর্বাঘাসে
দেখতে কেমন ভালোলাগায়
দেখিস কেমন মন ভরে যায়।

নদী  যেমন  হয় গতিহীন
সাগর যখন কাছে ডাকে
পাহাড যখন বৃক্ষবিহীন
দৈব কোন দুর্বিপাকে।

আকাশ নদী পাহাড ও জল
খুব জোয়ারে বয় টলমল

আমি তেমন বাধনহারা
তোর ডাকে হই  ছন্নছাড়া

কেনরে তুই যখন তখন
ডাকিস আমায় ক্ষ্যাপার মতোন
তোর প্রেমেতে উথাল পাতাল
উম্মাদনায় বদ্ধমাতাল।

সব ভুলে যাই, তোর ইশারায়
এক হয়ে যায়  ছায়ায় কায়ায়

এমন করে ডাকিসনা আর
আমায় কাছে তোর
সন্ধ্যা রাতে গল্প শুরু
ঠিক জানিনা কখন যে হয় ভোর।
@তৃতীয়পক্ষ

সমসাময়িক গদ্য

তিন বচছরের ছোট একটা
বাচছা মেয়ে ধর্ষিতা হয়
দিন পুরুরে।
দুঃখে,ক্ষোভে,বিকটতর রাগে
আর কতটা বিবেক থাকে বাগে।
অপমানে,লজ্জয় আর অভিমানে
বোবা হয়ে যাচ্ছি কি সব?
জন্ম কেন এ বংগেতে অপমানে।

হারামীর দল দাবডে যাচছে
শুয়োর  যতো কুডিয়ে খাচছে
সমাজ,রাষ্ট, আস্তাকুডে যায়
নষ্ট পুরুষ ভ্রষ্ট পথেই খায়।

অনায়াসে পার পাচছে ধর্ষকেরা
বড্ড কঠিন  অক্ষত ঘরেফেরা।

এককীত্বে কি বিনিদ্র কি সুখনিদ্রায় ,উষ্ণতায় কি
বরফ যেনো শীতলতায় ফাটে
অস্সহ্য তাই প্রতিটি পল কাটে

ভোরের আলোরন প্রতিক্ষাতে
,দরজার বাইরে সকালের বাস্ততা প্রতিক্ষায় থাকে ঘুম রোজ প্রভাতে।

কখননতবে সকাল হবে বলে

আজ আমার নেই
ঘুমানোর না তাড়া  নেই
সকালের আলোকমালায়
একাকিত্ব ছাড়া কোনো কিছুই নাই।
এটাই কি নিশ্চিত নিয়তি,
একলা জেগে কাটানো রাত যেনো
তেমন তরো   দিনটা ও  যদি কাটে একলা একা।

তাই বলে কি রাতের তারা গুলি হাতছানি দেয়  বিনিদ্র রাতের সঙ্গী হতে তারার দলের গল্পের আসরে, মাডিয়ে পায়ে আধার সতো,সংগী করে বুকের ক্ষত।
তারাগুলো  যাক ডুবে যাক রাতের আকাশ ছেড়ে
আমি না হয় আর একটা রাত
শেষ তারাটার আডাল অবধি  কাটিয়ে দেবো  ভেবে ভেব
প্রভাত আলোর ছোয়ায় যদি
আলোকিত হয় যতোসব
ধর্ষক আর নারী লিপ্সু নৃপুঃসক দল।
ইভটিজিং এ ঘরকুনো সব
বাচাছা মেয়ে দরজা ভেংগে
বুক ফুলিয়ে ডাকবে ওদের
খানকীর ছাওয়াল
আয়তো দেখি,সুর্য্যের তেজে
পুডিয়ে দেবে নষ্ট পুরুষ বেজাত যতো বেওয়ারিশ কুকুর গুলো।
কি করে যে কুপিয়ে যখম
শিক্ষাগুরু, হারামজাদা স্বর্গে যাবে,টিকেট দিছে ওর কোন বাপ।
পেট ভরে না নষ্টক্ষুধা সরকারী ও বেশ্যাবাজ আর বোতলপ্রেমি
মাতাল গুলোর,দাতাল শুয়োরনহাসছে যেনো,
চকচকে চোখ ঘুষের টাকায়,
দিনকে এরা রাত করে দেয়
টাকায় বিকোয় সমাজপতি।

আধার কেটে উঠত যদি
জাগতো যদি ভোর।
সেনালী দিন আসুক
আমাদের ই উঠান জুড়ে।


.সুন্দর অাগামীর ....

অপেক্ষার প্রহর

কোথাও না কোথাও,
কেউ না কেউ, কখনো কখনো কারো না কারো
অপেক্ষা থাকে কিংবা প্রতীক্ষায়

রাতের আকাশ যেমন
অপেক্ষায় থাকে,
সুর্য্য ডোবার আর
চাদের আলোয় সিক্ত হবার।

সবুজ দুর্বায় মুক্তোদানা শিশির 
অপেক্ষায় থাকে নরোম রোদের

ফুল ফোটার অপেক্ষা পাতা ঝরা
বসন্ত দিনের মাতাল সমীরনের
অার ফাল্গুন শেষে বৈশাখে
আমের মুকল রোদেলা দিনের।
 
লাল শাড়ী লাল টিপ আর
লাল কৃষ্নচুডার অপেক্ষায়  উতসব মমুখর একদল কিশোরী
উতসবের গান গাওয়ার অপেক্ষা

কৃষকের অপেক্ষা
ফসলের মাঠনবান্নের উল্লাস  আর ফেনাগন্ধময় নতুন ভাতের
কৃষানীরা পিঠে পুলি বানাবার

স্কুল পলাতক  দুষ্ট বালকের দল অপেক্ষায় থাকে ছুটি হলে পরে
বেলা শেষে খেলা ছেড়ে
শেষ বিকেলে বাড়ী ফেরার

পাডার উঠতি কিশোরদের
কেউ কেউ অপেক্ষায় থাকে বিদ্যাময়ীর হরিপদের ঘন্টার
সার বেধে দাডিয়ে থাকার।

কোথাও না কোথাও,
কেউ না কেউ, কখনো কখনো কারো না কারো অপেক্ষায় থাকে

বারান্দার কার্নিশগুলো
সোনালী রোদ্দুরের  অপেক্ষায় শেষ বিকেলের দীর্ঘ ছায়ার মতো

আকাশ ভাংগা বৃষ্টির জন্য  ছাতক পাখির সকরুন অপেক্ষা
জলপানের তৃষ্না মেটাবার

নীল খামে অচল গদ্য আর গোলাপের কুডি হাতে
যুবক প্রেমিক অপেক্ষায় তার
অব্যাক্ত কথামালার উচ্ছারনের।

কোথাও না কোথাও কারো না কারো মতো কখন ও কখনও
আমি ও অপেক্ষায় থাকি
তোমার জন্য,
তোমার অপেক্ষায়
তোমাকে এক পলক দেখবে
বলে দৃষ্টিসীমায় অপলক দুচোখের তাকিয়ে থাকা

তুমি আসবে বলে
বুকের ভেতর একলা নদী জলতরঙ্গের  নিঃশব্দ শব্দময়তায় সদা বহমান

জন্মাবধি  মহাকলের মতো অনন্ত কাল ধরে আমি হয়তো
তোমার জন্যই অপেক্ষা করে আছি, প্রতীক্ষায় কেটে যাবো
আরো একশ বছর
তবু কেথাও না কোথাও
কারো না কারো মতো
কখনো কখনো আমি ও
তোমার অপেক্ষায় থাকবো অনন্ত কাল।
,@তৃতীয়পক্ষ

কবিতা মানে

কবিতা মানে বুকের গভীরে
সযতনে বোনা স্বপ্ন মায়ার জাল
কবিতা মানে ছোট্ট নদী
এই টুকু তরী অনেক দীর্ঘ পাল।

কবিতা মানে তুমি আমি আর,
আমি তুমি মিলে সরল অন্তমিল।
কবিতা মানে শাপলা শালুক,
কবিতা মানে পদ্ম পাতার ঝিল।

কবিতা মানে সকালের রোদ,
দুপুর ছায়া বিকালের মেঘ ছায়া

কবিতা মানে বুকের গভীরে,
দীর্ঘসময়  জেগে খাকা কারো ছায়া।

কবিতা মানে হঠাত প্লাবনে
বুকের গহীনে
ভরে উট্ঠা নদী নালা
কবিতা  মানে মরুদ্যানে ক্যাকটাস বনে,
সযতনে বাডা গোলাপের ডালপালা।

কবিতা মানে সবুজ শ্যামল
কবিতা মানে সদ্য ফোটা ফুল
কবিতা মানে চাওয়া না পাওয়া
সাগরের মাঝে সবুজ উপকুল

কবিতা মানে ছোট্ট নদী
গহীন বনে  সবুজ টিয়া পাখি
কবিতা মানে,খুব গোপনে
বুকের গহীনে লুকিয়ে যারে রাখি

কবিতা মানে অনুপ্রাস আর
ছন্দ যাদুর মধ্য অন্তমিল
কবিতা মানে সবুজ শ্যাওলা
সার বেধে ফোটা
শাপলা শালুক ঝিল
,@তৃতীয়পক্ষ।

সবুজ ক্যাকটাসের নীল ফুল


একে একে সকল দরজায় আমি কড়া নেড়ে দেখছি,
ক্লান্ত হওয়া অবধি।
বন্ধ দরজার ওপাশ থেকে

কেউ জানতে চায়নি
কে এপাশে?
যে দরজা গুলোর
পাল্লা খোলা কি বন্ধ
সেগুলো আটকে গেছে
একে একে সকল দরজায় তালা

কেউ সহাস্যে এগিয়ে এসে হাত বাড়িয়ে বুকে জড়িয়ে জানতে চায়নি কেমন আছি।
কাছের মানুষ, দুরের মানুষ
আপন মানুষ নিজের মানুষ

সবার কাছে ভালোবাসার
আর সরলতার,
পরীক্ষা দিতে দিতে
একে একে হারিয়েছি
সব মুখোশ পরা মুখ।
চারপাশে তাকিয়ে অচেনার মতো
একাকী ভোরের কুয়াশায়
দু একটা চেনা মুখ ছাড়া।

কেউ আমাকে আমার
মতো করে ভালোবাসে
এমন একটা মানুষ ও
যদি না মেলে এই ভয়ে
কডা নাড়া বন্দ করে দিয়ে
নিজেই পালিয়ে এসেছি 
নিঃশব্দে নৈশব্দের নৈবদ্য হাতে
সংগে নিয়ে আশা আর
হাতাশার একরাশ ডালপালা
বুকের মাঝে আপনজনদের
যে ভালোবাসা আর মমতার ছবি আকা আছে জলরং এ ও সব থাকনা কি দরকার?
আর স্বপ্ন ভাংগার,কষ্ট পাবার।
বেচে থাক স্বপমানুষ

সাজানো ফেম গুলো হোক আরো বর্নিল।

এভাবে সব স্বপ্ন যদি
একে একে কাচের মতো ভেঙ্গেপড়ে বাকীটা জীবন শুধু কি দুঃস্বপ্ন নিয়ে বাচা যায়
বুকের জমিতে  তবু ফুটে থাক সজীব গোলাপ।
শুন্যতার দিকে তাকিয়ে তাই অসীমের কাছে
আশ্রয় প্রার্থনা করা ছাড়া কি ই করার আছে?
রিক্ত, নিঃস্ব আর অসহায়ের মতো আর্তনাদে
কারো কাছে কিছুই কি
চাইবার নেই আমার

আমি কিছুই চাইতেও আসিনি
এসেছি নিজের যা কিছু আছে জানতাম ওগুলোর অনড় অবস্থান আর শক্তি জানতে

অনেকগুলো ক্লান্তি কর রাত আর দীর্ঘ বিকেলের
জানালায় উকি দিয়ে
শুনত্যা ছাড়া কিছুই মেলেনি।

অসীমের এই বিশ্বনিখিল

রংগিন আলোর ঝর্নাধায়ায় সকল বাগান জুড়ে,
ফুটুক হাসনা হেনা
আমার থাকুক ক্যাকটাস শুধু
জল ঢেলে ঢেলে
আমি সেই পাথরের বুকে
ফোটাবো নীল ফুল।
@তৃতীয়পক্ষ

ছেলেবেলার গল্প

।।

অগ্রজের আঙুল ধরে
নতুন জামার প্রথম স্কুল
শ্লেট আর চকে আকা
জীবনের প্রথম ভুল,

পরম মমতায় বাবার কাধে
মাছ ধরার সে দিন 
সোনালী শৈশবের কাছে
আজো অনেক রিন।

শৈশবের সে সব স্মৃতির মেলা  ভুলিনি তোমায়
কেরোসিন ভেজা দলা পাকানো
পাটের সলতে দিয়ে
চেরাগ জ্বালানো
টিকা কর্মীর ভয়ে স্কুল পালানো

কড়া চোখে কাচারী ঘরে
স্যারের রাগী চোখে তাকানো।
দুরন্ত সে কৈশোর
আজো আমি ভুলিনি তোমায়।

নদীর জলে ডুব সাতারের
সে সব দিনে
চুডুইবাতির, মুরগী চুরির খানাপিনায়,
দাদীর হাতের মাটির হাডি
শীতের দিনেপৌষ পাবনের 
পুলি পিঠা, মন্ডা মিঠায়।

অপরুপা মেহের বানু
ভুলিনি তোমায়।

নদীর জলে কাদা মাখা,
পুকুর জলে ধোয়া মোছা,
মায়ের হাতের বাশের কন্চি
বগল তলা্য় লুকিয়ে রাখা
চোট্ট রসুন কোয়া
শীতল পাটির ছক্কা
কিবা সতরন্জী।
স্কুল পালানো সে  কৈশোর আজো আমি ভুলিনি তোমায়
@তৃতীয়পক্ষ

ত‌োমায় নি‌য়ে ভাবনা অামার

বড্ড বেশী এলো‌মে‌লো অ‌গোছা‌লো ,তোমার জন্য অানন্দেরা পথ হারা‌লো ।

কিংবা অাজকাল তুই কোথায় থা‌কিস কত দু‌রে ,
কেমন ক‌রে এমন ভু‌লে থা‌কিস‌রে তুই কোন সুদু‌রে ।

অবাক করা শব্দমালা
জোড়া বা‌ধে, যযন তখন
ইচ্ছ‌ে হ‌লে লিখ‌তে পা‌রি
যখন তখন।

অ‌নি‌চ্ছে‌তে ফোটা‌তে পা‌রি  কৃষ্নচুড়া হিজল তমাল ।

তুম‌ি কিংবা তুই কি শুধু
লি‌খে মানুষ কর‌তে প্রকাশ ভা‌লোবাসার প্র‌তিশ‌ব্দে ,
প্রে‌মের যতো শব্দমালায়
মু‌র্খের দল তোদের কা‌রো
বিচার বু‌দ্ধি দে‌খে হে‌সে গড়াগ‌ড়ি খায় নি‌র্বোধ প্রানহীন শব্দগু‌লো ।

দু চারটা ভা‌লোলাগার পঙ‌ক্তি লজ্জায় হয় লাল
তা‌তে অার কৃষ্ন চুড়ার রং মেশা‌তে হয়না এম‌নি‌তে ক‌বিতারা  লজ্জায় সিধুর রাঙা।

তু‌মি এবং তুই  এর এ‌ফিটাফ লি‌খে রা‌খে অস্তহামী
সু‌য্যের শেষ লা‌লিমায়
ভাবনারা ডুব দেয় অন্ধকার‌ে, ‌নিঃসীম হতাশায়।

ত্রিশ বসন্তের তুই যখন
যোড়শীর  কামকলার দৃশ্যপ‌টের বর্ননা হ‌য়ে  যখন তখন কা‌নে ঢা‌লিস অপবা‌দের তপ্ত সীসা ক‌বিতারা ধ‌র্ষ‌িতা হয় বার বার ।

তখন অার দিনযাপ‌নের
দৃশ্যপ‌টে তু‌মি এবং তুই
শব্দমালা হা‌জির হ‌তে
পায়না সাহস অবলীলায়

নিয়তির চৌকাঠ

চারদিকে ভয় শুধু
রাঙায় দু চোখ দুটি
কিছু বলা চলবেনা
চেপে থাকো টুটি।
পথ মত আছে যতো
যে যাবার যাও
গুটি শুটি মেরে থাকো
চুপি চুপি গাও।

বেচে থাকো এই বেশ
নাই কোন ধান্ধা
দুচোখে ষাড়ের মতো
লাল কাপড় বান্ধা

অনেক বলার আছে
বলেছো তো কিছু
সীমাহীন দুর্গতি
ছাড়বেনা পিছু।

কলম হাতে তবু
চুপ চাপ থাকো
কি করে বাচতে হবে
সেই ছবি আকো।

এক পথ,এক  মত,
এক ঢংয়ে  কেটে যাক সবি
কবিতাতে  জ্বি জনাব
বলছে সব কবি।

ভীষন অন্ধকারে খুজে ফেরা
তবু আলোর পথ
পথের শেষে যেথা
অগনিত মত।

আমাদের চাওয়া পাওয়ার
নেই কোন মুল্য
সকলের এক সুর
দেবতারা সবে সমতুল্য।
নিজেরে নিয়ে সদা
দেবীগন ব্যাস্ত
কি করে যে দিন কাটে
আমরাই   তটস্হ 
মহাকাল হাসে শুধু 
ইশারায় থামে কবে
নিয়তির খেলা
কারো তরে ফোটে ভোর, 
কারো সন্ধ্যা বেলা।
গেছে দিন, দেখেছে সে
ইতিহাস তারে কয়
নিয়তির শেষ চাল
কি হারায় কি জানি কি রয়।

ফুল পাখি আর নদী গল্প

শুনবে নাকি, একটু  অল্প।
ফুলের গন্ধে , পাখির ডাকে
শাপলা শালুক, ঝিলের বাকে
নদী আছে আগের মত
বইছে আজো একা,
নদীর বুকে জলের পরে
মেলেনা  আজ
মাঝি মাল্লার দেখা।
পদ্মপাতার  জল টলমল দিঘীর

কুলে ডিঙ্গি বাধা ছোট্ট অতি।
খেয়া পারের নগেন মাঝি
মনের ভুলেযাত্রী খোজে
পার করতে ওইতো গতি।

নদীর দুকুল কাশে ঘেরা
কেবল সাদা,
রোদেছায়ায়  নদীর জলে
খানিক ধাধা।

দুরে কোথায় ডাকছে পাখি 
দোয়েল কিংবা  মাছরাঙা।
গোমটা দেয়া নৌকা গুলো
আর দেখিনা নাইউরীদের
পা গুলি সব আলতা রাঙ্গা।

বউ ঝিয়েরা জল আনতে
কাখে কলস,
এখন তো আর
নেয়না ভুলে কেউ।
গাছের ছায়ায় জিরোয়  রাখাল,
লাঙ্গল জোয়াল
চালানোটা ভুলে গেছে সেও।

বদলে গিয়ে খেয়া ঘাট আজ
সেতু পেরোয়  টোলে,
খেয়া পারের মাঝিরা গেছে
নৌকা বাইচ ও ভুলে।

সপ্তাহান্তের হাট গুলোতে
আগের সে প্রান নাই,,
হাতের কাছে নিত্য  সদাই
খুজলে এখন পাই।

কোকিল কি ময়না টিয়া  ডাক
শুনে তার চেনে কজন ,
পাখির আবাস যেথায় ছিলো
হারিয়েছে সেই বন।

ছোট বেলার সে সব গল্প
বদলে গেছে দিন।
পাখির কাছে ফুলের কাছে
ছোট্ট ফেনী নদীর কাছে
তাইতো অনেক রিন।।

জয়বাংলার মুক্তি চাই

অা‌মি একটা ক‌বিতা লিখ‌তে চে‌য়ে‌ছিলাম অ‌নেক‌দিন ধ‌রে ম‌নের ম‌ধ্যে শ‌ব্দের জাল বু‌নে
অাবার বদ‌লে‌ছি
অার শুদ্ধাতম কর‌বো ব‌লে
পা‌রি‌নি কোন শ‌ব্দের বিচা‌রে তুলনা  কর‌তে
যোগ্য তম কোন শব্দ খু‌জে পাইন‌ি বলে ।

অামার সেই ক‌বিতা‌টি দ
লেখা হ‌য়ে হ‌য়ে উ‌ঠে‌নি

একটা মাত্র মানুষ কি অসীম শ‌ক্তি‌তে গোটা একটা জা‌তি‌কে একটা মাত্র জাগর‌নের
সিম্পনী‌তে দাড় ক‌রি‌য়ে‌ছি‌লে
জয়বাংলা ব‌লে ।

প্রবল ব্যা‌ক্তিত্ব অার
অসীম সাহ‌সে
স্বপ্ন দে‌খি‌য়ে স্বপ্ন ছি‌নি‌য়ে এ‌নে‌ছি‌লেন স্বপবান পিতা
লাল সবু‌জের পতাকায়।

ভা‌লোবাসায় ভা‌লোলাগায় চেতনায় অার অব‌চেত‌নে একটাই যার নেশা একটাই ছি‌লো ভাষা সেটা মু‌ক্তি অর্থ‌নৈ‌তিক মু‌ক্তি

মু‌ক্তিকামী মুক্ত  বু‌দ্ধি
অার শুদ্ধ চর্চার

মহানুভব পিতার কথা ভে‌বে অা‌মি গোটা জা‌তির
একজন হ‌য়ে একটা ক‌বিতা লিখ‌তে চে‌য়ে‌ঠছলাম
শ্রদ্ধা অার ভা‌লোবাসার শব্দগু‌লো যখন র‌ক্তের
রং‌ঙে লাল অার
ছো্ট্র রা‌সে‌লের বু‌লেট‌বিদ্ধ বু‌কের পাজর ভাঙ্গা
যন্ত্রনার ক‌ষ্টে ভেজা

ভয়াল   সেই  কা‌লো রাত অামা‌কে অক্ষম লজ্জায় ডোবায় অার বাংলায় তার জন্য
ক‌বিতা লিখার সৎ সাহ‌সেরা পা‌লি‌য়ে বেড়ায়।
যেমন পা‌লি‌য়ে বেডি‌য়ে‌ছে
তার এ‌তিম অাত্বজ‌রো
অার শকু‌নের দল ও লজ্জা পেযে ছে‌ড়ে‌ছে বাংলার অাকাশ

দান‌বেরা মে‌তে‌ছি‌লো
পৈচা‌শিক উল্লাসে মে‌তে‌ছি‌লো অার জয়বাংলা হা‌রি‌য়ে গি‌য়ে‌ছি‌লো

শ্লোগানমুখর রাজপথ ছে‌ড়ে এইটা মাত্র শব্দ কি ক‌রে
বু‌কের ম‌ধ্যে সাহ‌সের বাতাস ছডায় 
কি ক‌রে চো‌খের ম‌ধ্যে
দু‌ত্যিময় স্বপ্ন ছড়ায়
অার মু‌ষ্টিবদ্ব হ‌য়ে উ‌ঠে
অাপনা‌তে দু হাত

অা‌মি    সেই    শ‌ব্দের ম‌হিমা নি‌য়ে একটা ক‌বিতা লিখ‌তে ছে‌য়ে‌ছিলাম।

পাই‌নি উপমায় কোন বর্ন মালা

জা‌তি হি‌সে‌বে যে শব্দ
অাামার উওরা‌ধিকার
সে‌টির দখল অাজ বাঙালী জা‌তির কা‌ছে নেই

অা‌মি শ‌ব্দের মু‌ক্তি চাই

বুক ভ‌রে শ্বাস নি‌য়ে
অা‌মি বল‌তে চাই
জয়বাংলা

অা‌মি  দখল হ‌য়ে যাওয়া মু‌ক্তির
শ্লোঘান এর মু‌ক্তি চাই  ।
ময়ুরের মতো পেখম লাগিয়ে
তা ধিন ধিন না নাচতে নাচতে
রংগালয়ের মেকাপ মাখা
বেশ্যার মতো নিঢর্লজ কিছু
নৃপুঃকসুক বেহায়ার মুখে
বেমানান চিতকারে যখন শুনি
জয়বাংলা শ্লোঘান।
ভয়ার্ত চোখে সকরুরন চাহনিতে
অবাক তাকিয়ে অসহায় অাত্নসমর্পন না করে
আমি মুক্তি চাই প্রিয় পংক্তিমালার।াাাাা