।
কোথাও না কোথাও,
কেউ না কেউ, কখনো কখনো কারো না কারো
অপেক্ষা থাকে কিংবা প্রতীক্ষায়
রাতের আকাশ যেমন
অপেক্ষায় থাকে,
সুর্য্য ডোবার আর
চাদের আলোয় সিক্ত হবার।
সবুজ দুর্বায় মুক্তোদানা শিশির
অপেক্ষায় থাকে নরোম রোদের
ফুল ফোটার অপেক্ষা পাতা ঝরা
বসন্ত দিনের মাতাল সমীরনের
অার ফাল্গুন শেষে বৈশাখে
আমের মুকল রোদেলা দিনের।
লাল শাড়ী লাল টিপ আর
লাল কৃষ্নচুডার অপেক্ষায় উতসব মমুখর একদল কিশোরী
উতসবের গান গাওয়ার অপেক্ষা
কৃষকের অপেক্ষা
ফসলের মাঠনবান্নের উল্লাস আর ফেনাগন্ধময় নতুন ভাতের
কৃষানীরা পিঠে পুলি বানাবার
স্কুল পলাতক দুষ্ট বালকের দল অপেক্ষায় থাকে ছুটি হলে পরে
বেলা শেষে খেলা ছেড়ে
শেষ বিকেলে বাড়ী ফেরার
পাডার উঠতি কিশোরদের
কেউ কেউ অপেক্ষায় থাকে বিদ্যাময়ীর হরিপদের ঘন্টার
সার বেধে দাডিয়ে থাকার।
কোথাও না কোথাও,
কেউ না কেউ, কখনো কখনো কারো না কারো অপেক্ষায় থাকে
বারান্দার কার্নিশগুলো
সোনালী রোদ্দুরের অপেক্ষায় শেষ বিকেলের দীর্ঘ ছায়ার মতো
আকাশ ভাংগা বৃষ্টির জন্য ছাতক পাখির সকরুন অপেক্ষা
জলপানের তৃষ্না মেটাবার
নীল খামে অচল গদ্য আর গোলাপের কুডি হাতে
যুবক প্রেমিক অপেক্ষায় তার
অব্যাক্ত কথামালার উচ্ছারনের।
কোথাও না কোথাও কারো না কারো মতো কখন ও কখনও
আমি ও অপেক্ষায় থাকি
তোমার জন্য,
তোমার অপেক্ষায়
তোমাকে এক পলক দেখবে
বলে দৃষ্টিসীমায় অপলক দুচোখের তাকিয়ে থাকা
তুমি আসবে বলে
বুকের ভেতর একলা নদী জলতরঙ্গের নিঃশব্দ শব্দময়তায় সদা বহমান
জন্মাবধি মহাকলের মতো অনন্ত কাল ধরে আমি হয়তো
তোমার জন্যই অপেক্ষা করে আছি, প্রতীক্ষায় কেটে যাবো
আরো একশ বছর
তবু কেথাও না কোথাও
কারো না কারো মতো
কখনো কখনো আমি ও
তোমার অপেক্ষায় থাকবো অনন্ত কাল।
,@তৃতীয়পক্ষ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন