সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮

কলেজ পর্ব০১

স্কুলের মাত্র তিনজন ছাত্র যেখানে ফাষ্ট ডিভিশন পেয়ে উত্তীর্ন হয় আর পুরো দাগনভুইয়া থানায় মাত্র সতের জন। ইচছে ছিলো ফেনীর বাইরে কোন নামকরা কলেজে ভর্তি হবার। আমার বাবা সবসময় তার সামর্থোর অধিক ভাবতেন আমার লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ ই ছিলো হয়তো এটার মুল কারন। বাবা হয়তো স্বপ্ন দেখতেন তার ছেলে একদিন অনেক বড হবে। বাবা আমায় নিয়ে কি স্বপ্ব দেখতেন কিংবা ঠিক কি বানাতে চেয়েছিলেন সেটা কোনদিন জানতে চাইনি, বাবা ও বলেননি কোন দিন তোকে কিনৃতু ডাক্তার ইনৃজি : জর্জ, ব্যারিষ্টার, সেনা অফিসার বা আমলা হতে হবে। বাবার স্বপ্ন কি ছিলো সেটা অজানাই রয়ে গেলো। আর নিজেও আসলে আমাদের সামাজিক ব্যাবস্থা যে সকল পেশার মানুষকে সফল ব্যাক্তি হিসেবে গন্য করে বা সমীহ করে সে সবের কিছু হবার চেষ্ঠা ও করিনি হতেও পারিনি। স্কুল পাশ করে ঢাকা সিটি কলেজের একজন টিচার ছিলেন মোকাররম স্যার ওনার সাথে আমাকে ঢাকায় পাঠালেন ঢাকার কোন নামকরা কলেজে ভর্তি হতে।আসলে আমাদের আত্নীয়স্বজন দের কেউই ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামে কোথায়ও স্হায়ী বা ব্যাবসা কিংবা পেশার সুত্রে তখন অবস্থান করতো না একমাত্র ব্যাতিক্তম ছিলো আমার দেবীপুরের ফুফুর তিন ছেলে কর্ম সুত্রে ঢাকা চট্টগ্রাম থাকতো। নিতান্ত ব্যাক্তিতগত সমৃপর্ক সব মিলিয়ে ওই আমি একাই মোকাররম স্যারের সাথে ঢাকায় গেলাম ভুতের গলিতে ওনার বাসা ছিলো। কয়েকদিন ওনার সাথে ছিলাম, আর তিনি ছিলেন ঢাকা সিটি কেলেজের টিচার কয়েকদিন থাকার পর আমি ফেরত চলে আসলাম। আমার কাছে সব মিলিয়ে ভালো লাগছিলোনা বলে। এর পর অগ্যতা আর কোথাও যাওয়ার মতো সুযোগ ও ছিলোনা তাই ফেনী সরকারী কলেজে ভর্তি হলাম। সায়েন্সে ভর্তি হলাম ঠিকই কিনৃতু অংকে আমার মাথা বরাবরই কাচা। এস এসসি তে তো কোন রকম নিজাম স্যার পেটের চামডায় চিমটি দিয়ে টেনে অংকে পাশ করিয়েছেন। সায়েন্স নিলাম আর রসায়ন পদার্থ বিদ্যার সুত্র অংক সব মিলিয়ে শাহদা ম্যাডাম, করবী ম্যাডামের কাছে প্রাইভেট পড়ার পর ও কোন রকম টেনে টুনে পাশ করলাম এইচ এস য়সি মাত্র ৫২৩ নামৃবার নিয়ে,  রাজনীতির সাথে ও জডাইনি আসলেই মাথা মোটা বলেই সেকেন্ড ডিভিশান পেয়েছিলাম নইলে ৪৪ টা ছেলে মেয়ে ফাঢ্ট ডিভিশান পেলো আমি পাইনি।
কলেজে সময় কেটেছে দু বছর খুব বেশী একটা সময় না তবে কলেজে গিয়ে সিনেমা হলের বারান্দা শো আর বিলাসী হলের এক টিকেটে দুই ছবি দেখার বাইরে আর কোন অপকর্মের সাথেই জড়িত ছিলাম না। নিতান্ত বাধ্য হয়ে মাঝে মধ্যে মিছিলে যেতে হতো।রাজনীতি করাটা আমার বাবা পছনৃদ করতেন না আর আমি ও যে পরিমান ভীতু টাইপের মানুষ অামার জন্য রাজনীতি  করাটাই  বেমানান ছিলো
তবে চলাফেরা সব সময় রাজনীতিকরতো কিংবা কলেজে মিছিল মিটিং এসব নিয়ে যারা নেতৃত্ব দিতো ওদের সাঘেই ছিলো।
তবু সাদা মাটা ভাবে প্রেম ভালোবাসা বা প্রনয়ঘটিত কোন কর্ম ও কপালে জুটেনি কলেজ লাইফে। আমাদের পুরো কলেজ ক্যামৃপাসে অল্প কয়েকটা হাতে গোনা সুন্দরী ছিলো নজর যে কারো দিকে পড়েনি তা নয় তবে সবার ফোকাস যখন এক জায়গায় গিয়ে থামে সে দিকে দৃষ্টি না দেয়াই শ্রেয় মনে করে মনের মধ্যে লালন করা সুপ্গ আবেগীয় বসায়ন ওখানেই চাপা পড়ে হারিয়েছে।
কলেজে স্মরনীয় ঘটনা হয়তো তখন অনেক ঘটেছে এখন আসলে সে রকম উল্লেখ করার মতো খুব বেশী মনে পড়ছেনা।যে গুলো মনে পড়ছে সে গুলো আমার নিজস্ব স্মৃতি বলে হয়তো আমার কাছে মনে রাখার মতো তবে অন কারো কাছে সেটা সে রকম নাও হতে পারে।
চলমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন