শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৫

তারানা হালিম আমাদের মাননীয় মন্ত্রী খোলা চিঠির জবাব।


একজন তারানা হালিম যাকে ভাবলে প্রথম   সেই ঢাকায় থাকি নাটকের প্রিয় হাসি ভাবীর মুখটা ভাসে একজন সামাজিক মানুষ হিসেবে নিজের ব্যাক্তিগত অবস্থান থেকে ফেসবুক সাময়িক বন্ধ থাকা নিয়ে একটি   খোলা চিঠি লিখেছেন। কিন্তু ব্যাক্তিগত অবস্হান থেকে কেন তার মন্ত্রী স্বত্বার সাথে ব্যাক্তিসত্বার কি কোন মত দৈত্বতা কাজকরছে। মন্ত্রী হিসেবে তাকে যেটা করতে হয়েছে তার নিজের ব্যাক্তিগত অনুভুতি এর বিপরীতে কাজ করছে, যেটা করলাম সেটা কি ঠিক হলো? কাজটা মনে হয় না করলেও চলতো?
তাই এই চিঠি  কি নিজের আদালত থেকে নিজের এই দায়মুক্তির আমমোক্তারনামা?
ধন্যবাদ  ব্যাক্তি তারানা হালিম কে।
কিন্তু যে সব যুক্তি অাসলে এসেছে সেটা আবার মন্ত্রী হিসেবে নেয়া পদক্খেপ কে নেহায়ত এর সাপোর্ট দেয়ার জন্য,
জনর্থাথে সরকার মনে করেছ ব্যাস ওটুকুই যথেষ্ট। অত ব্যাখা আমাদের লাগবেনা।তবে সরকারের এই অবাধ  স্বাধীনতা আমাদের পরাধীনতার কারন না হয়ে দাড়ায় যেনো।
আমরা যেমন সাধারন পাবলিক তেমনি সাধারন ফেসবুক ইউজার ইউজার।
হয়তো বলবেন,কিউবা কিংবা উওর কোরিয়াও বন্ধ করেছে সেটা কেউ বললে আমি বলবো আমাদের সরকার তো একনায়কতান্রিক নয়,কিউবার মতো আমরা কোনো গুয়ান্তেনামা বে  মতো গোপন বন্দীশিবির আমাদের নেই।
আমরা তো গনতন্ত্রেই আছি! তাই না?
কিংবা উওর কোরিয়ার মতো আমাদের সরকারের প্রধান কোরিয়ার  শাসক মতো নিষ্ঠুর লোভী  পিতৃ হত্যাকারী নয়।বরং এই যদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের পিতৃহত্যার দায়ভার মুক্ত হচ্ছি।
তাই, আমাদের সরকারপ্রধান  অসীম সাহসী বলা চলে।  যতো মায়াকান্না আর মশাহেব তার যতো চাটুকারীতায় মুগ্ধ করে হটকারী সিদ্ধানন্তই নেন তিনি একটা জায়গায় ইস্পাত কঠিন ছিলেন বলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও করে যাবেন। তিনি  অতোটা নিরপওাহীনতায় ভুগবেন কেন।

এটা  আর চীনের ফেসবুক বন্ধ পুরোটাই বানিজ্যিক।
যারা সাইদীকে চাদে পাঠিয়েছে তারা অনেক বেশী আপ টু ডেট তাদের আটকানোর জন্য নিজেদের মহাশয় অার মহাশয়াদেরর মাথার হাডডিস্ক গুলোতে লেটেষ্ট অাপটুডেট  ভার্সন গুলি আপ টু ডেট রাখতে হবে, মন্ত্রালয়ের  পুরোনো সেকেলে থ্রি এইট সিক্স মেশিন গুলোর সাথে নতুন কিছু  নিয়ম ভাঙ্গার মতো সাহসী অাইটি প্রপেশনাল জুড়ে দিন। ওদের প্যাচ তখন আর বাশের কল্লার সামর্থ্যের মধ্যে থাকবেনা।
মাননীয় মন্ত্রী ফেসবুক আছে বলেই কিন্তু আমি আপনার চিঠিটা পড়তে পেরেছি। আপনার বন্ধ রেখেছেন আর আমরা নতুন করে শিখলাম ভিপিএন এর মাধ্যমে। আমরা কিন্তু সেই বন্ধ  দরজা সিসিম ফাক বলে খুলছি আর বন্ধ করছি। যেভাবে কলেজ হোস্টেলের পাচীল টপকে নাইট শো তে সিনেমা দেখতে যায় ছেলেরা আর বিছানায় বালিশটা কাথা দিয়ে ডেকে রাখে আর হোস্টল সুপার জানালা দিয়ে দেখে হুম ছেলে ভালো সময় মতো ঘুমিয়ে পড়েছে। আর তিনি চাবির গোচাটাতে হাত দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে। আপনি অাবার ভাবছেননা তো হুম ফেসবুক বন্ধ  চাবি আপনার হাতে?
এই অকেজো তালা মেরে কি লাভ হলো?
আমাদের ও দুষ্ট ছেলের দলে নাম লেখাতে হলো। কিন্তু আমরা সরকারী সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। সরকার নিষিদ্ধ করলে হয়তো ভিপিএন ও ইউজ করতামনা। আবার হাস্যকর হলো এখন অতি উতসাহী হয়ে কেউ কেউ বলছেন এটা নজরদারী করা হচ্ছে!!!!!
একটা বাশের কেল্লা কিংবা রেডিও মুন্না কে নজরদারী রাখতে যেখানে ব্যার্থ আমাদের আমলাদের লালফিতা নির্ভর মিড়িয়া আটকানোর আদেশ সেখানে ভিপিএন এর ডেটা এনালাইসিস করে আমরা সন্ত্রাসী খুজে বের করবো।
ডাটা ফিল্টারিং আর সার্চ অপশন ইন্টারনেট প্রটোকল এই সব তরুন পেশারজীর অভাব নেই দেশে।খুজে বের করে ওদের কাজে লাগান তখন আর প্রশ্ন বিদ্ধ আদেশ ও করতে হবেনা আর সেটার জন্য এফিডেভিট এর চিঠিও দায়মুক্তির সনদ হবেনা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন